বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশনে নামার আগে নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। কাতারের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব লুসাইল স্পোর্টসের কাছে ১-০ গোলে হারল জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচ হারলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস।
কাতারের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশনে নামার আগে শেষবার নিজেদের ঝালাই করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। যদিও প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হারতে হয় জামাল ভূঁইয়াদের। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে সাদ-রহমতরা। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
দোহার আল আজিজিয়ায় ম্যাচের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তার করে লুসাইল স্পোর্টস। বল নিজেদের দখলে নিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে কাতারের দ্বিতীয় স্তরের দলটি। যদিও এক পর্যায়ে বাংলাদেশও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। তবে ম্যাচের ২৪ মিনিটে লিড নেয় লুসাইল স্পোর্টস ক্লাব। স্বাগতিকদের হয়ে গোলটি করেন আবদুল রহমান।
পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সমতায় ফিরতে না পারলে, ১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লুসাইল স্পোর্টস।
বিরতির পর অবশ্য দুদলের লড়াইটা ছিল সমানে সমান। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও সমতা আনতে না পারলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচে হারের আক্ষেপ ভুলে এবার কাতার ম্যাচের জন্য তৈরি হতে চায় লাল-সবুজরা।
বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো বলেন, দুটি প্রস্তুত ম্যাচেই আমরা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের ভুল শুধরে মূল ম্যাচের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হতে চাই আমরা।
কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস বলেন, দেখুন, দুটি ম্যাচেই ফুটবলাররা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। যদিও লুসাইল স্পোর্টস অতটা শক্তিশালী দল ছিল না। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। বিরতির পর ফুটবলাররা আমাকে হতাশ করেছে। তারপরও প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে, আশা করছি কাতারের বিপক্ষে সেরাটা দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।