করোনা মহামারির কারণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি ৪০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়োগ প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন’র নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৬৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈশ্বিক মহামারির কারণে সদস্যদের অনেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন। বোর্ডের শুরুতে রীতি অনুযায়ী যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন রিজেন্ট বোর্ডে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের ৪০ শতাংশ সেমিস্টার ফি কমানোর সুপারিশ করে। করোনা মহামারির সময় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে রিজেন্ট বোর্ড এটি অনুমোদন করছে।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া আর্থিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে অনলাইনে সম্পন্ন’র বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, ঢাকার সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, ঢাকার সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।