রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও অন্য কলেজে মাইগ্রেশন করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটানোর তদন্তে শনিবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাসে যায় তদন্ত কমিটি। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার দাবি নিয়ে কমিটির সামনে হাজির হন অভিভাবকরাও। এ সময় সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের কাছে করজোড়ে দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ১০
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পরও হাসপাতাল পরিচালকের টালবাহানায় অন্য মেডিকেলে মাইগ্রেশনের আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
তারা বলেন, আমরা যারা সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের প্রাণের দাবি, এ ঘটনায় জড়িতদের যেন অতিদ্রুত কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
এদিকে হামলার ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারী মুছাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনসহ বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার উদয় কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দুজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। বাকিদের ধরতে অভিযান চলমান।
নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। শুক্রবার, হোস্টেল থেকে মালামাল নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন ১২ জন শিক্ষার্থী। লাঠি দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটায় নিরাপত্তাকর্মীরা। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নগরের চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন এক শিক্ষার্থী।