নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, সারাদেশের নৌপথ উন্নয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে টেন্ডার কার্যক্রম হয়ে গেছে, অল্প কিছুদিন পরই ঠিকাদাররা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে যাবেন। কাজ শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হবে সরকার।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০০ জন্মোৎসব শীর্ষক দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মোংলা থেকে রূপপুর পর্যন্ত ৯৯৭ কোটি টাকার নৌরুটের কাজ চলমান আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ডিপিপি অনুমোদনের কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি নগরবাড়ি থেকে ফেরি সার্ভিস আবার চালু হবে। ইতোমধ্যে নবনির্মিত পাবনা মেরিন একাডেমিতে কমান্ড্যান্ট নিয়োগ হয়ে গেছে। এই শিক্ষাবর্ষে কিছু বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা মেরিন একাডেমি উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এর আগে দুদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ১০০ জন্মোৎসব অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা।
ওসাকার নির্বাহী পরিচালক কবি ড. মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কবি আসলাম সানি, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুণ্ডু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশাররফ হোসেন, ঈশ্বরদী পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক, ওসাকার পরিচালক মো. মাজাহারুল ইসলাম, পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো, নুরুল ইসলামসহ নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ সুধীজনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, উদ্বোধনী পর্ব, শ্রদ্ধার্ঘ্য, আলোচনাসভা, সেমিনার, ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মো. মাজাহারুল ইসলাম, মাধবী ইসলাম, অলোক চক্রবর্তী, আবু সাইদ খান, প্রদীপ দাস সংগীত পরিবেশন করেন। তালে ছিলেন রমেশ ঘোষ এবং বৌটুবানী পাঠশালার প্রশিক্ষক সুমাইয়া আখিসহ অন্যরা বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশনা শুভনীড় মুজিববর্ষে উন্নয়ন স্পর্শে শীর্ষক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।