পাবলিশারদের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি ত্বরান্বিত করতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন লিমিটেড ও অ্যাডল কমিউনিকেশন ইনকরপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অ্যাডল কমিউনিকেশন ইনকরপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী প্রদ্যোত বরণ চৌধুরী এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরফরাজ আহমেদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় পাবলিশারদের রেভিনিউ অপটিমাইজ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিনিময় করবে দুটি প্রতিষ্ঠান।
এ সমঝোতা স্মারকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাবলিশারদের রেভিনিউ বাড়ানোর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতা যাতে ক্রেতাদের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন তা নিশ্চিত করা।
এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের পাবলিশাররা ৫০টিরও বেশি গ্লোবাল অ্যাড এক্সচেঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। তা ছাড়া পাবলিশারদের ওয়েবসাইটে কাটিং-এজ বিজ্ঞাপন পরিবেশনের প্রযুক্তি স্থাপন করার মাধ্যমে খুব সহজেই দেশের পাবলিশাররা তাদের ওয়েবসাইটে পূর্বের থেকেও বেশি উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
এ বিষয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরফরাজ আহমেদ বলেন, আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার এর মাধ্যমে পাবলিশারদের অ্যাড সেন্স ওয়েবসাইটে ৩০ শতাংশ থেকে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত উপার্জন বাড়াতে পারব এবং একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতারা যাতে ক্রেতাদের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী তাদের বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে সেটাও নিশ্চিত করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন দেখেন এবং এতে পাবলিশারদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় তবে, আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার এর মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন রিয়াল টাইম কন্ট্রোল করা যাবে।
অনুষ্ঠানের শেষে অ্যাডল কমিউনিকেশন ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রদ্যোত বরণ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি দ্রুত গ্লোবাল অ্যাড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পাবলিশার এবং অ্যাডভারটাইজাররা লাভবান হবেন। একই সঙ্গে পাবলিশার এবং অ্যাডভারটাইজারের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস পাবে।