বায়োফ্লক প্রযুক্তি: মাছ রফতানিতে খুলবে সম্ভাবনার দুয়ার
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের সর্বত্রই এই পদ্ধতিতে চলছে মাছ চাষ। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে ভবিষ্যতে দেশের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে রফতানিতে নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে। তবে তথ্যঘাটতি ও ভুল পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য বায়োফ্লক পদ্ধতিতে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাচ্ছেন না। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এই খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর রামপুরার ইসলাম টাওয়ারের ওয়াটার ফল কনভেনশন হলে আয়োজিত হলো ‘বায়োফ্লক প্রযুক্তি: মৎস্য উৎপাদনের ও মৎস্য রফতানির নতুন সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা। কর্মশালায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে সফলতা পাওয়া উদ্যোক্তারা সংগঠন গঠনের তাগিদ দেন।
কর্মশালায় বক্তারা বায়োফ্লক প্রযুক্তির বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বায়োফ্লক বাংলাদেশ, বায়োফ্লক গাইডলাইন বিডি, বায়োফ্লক প্রজেক্ট আলোচনা ও গবেষণা, বায়োফ্লক ফিশ ফার্মিং সাপোর্ট বাংলাদেশ, এ আর বায়োফ্লক ফিশ ফার্ম, বায়োফ্লক প্রযুক্তি, বায়োফ্লক তথ্যভান্ডার, বায়োফ্লক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ, মৎস্য কুটির , মাছ বাবা অ্যাগ্ৰো প্রতিষ্ঠানগুলো।
কর্মশালার আয়োজক বায়োফ্লক গাইডলাইন বিডির রাজীব আকন্দ বলেন, বায়োফ্লক প্রযুক্তি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ইউটিউবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারনা দেখে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রচলিত ধারার বিভিন্ন পর্যায়ে অসংগতি চোখে পড়ে চোখে পড়ে। তাই আমরা একটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই আয়োজন। লক্ষ করবেন দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই খাতকে বিতর্কিত ও প্রান্তিক চাষিদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, আমরা সঠিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সংগঠন গড়ে তুলতে চাচ্ছি। আশা করি, বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ রফতানিতে নতুন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় বায়োফ্লক গাইডলাইন বিডির পক্ষ থেকে সহব্যবস্থাপক তানিয়া তামান্না বলেন, বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি, বায়োফ্লকের মাধ্যমে উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে কাজে লাগিয়ে মাছ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে লাভজনক করা।