মহামারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্সের পদোন্নতির পরীক্ষা। একই বেঞ্চিতে গাদাগাদি করে বসিয়ে কোনরকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই ৪১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ৬ সদস্যের কমিটি।
ক্ষোভ জানিয়ে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা বলছেন, প্রোফেশনালশ পরীক্ষার মত ঐচ্ছিক একটি পরীক্ষা এ পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে উল্টো ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে তাদের। যদিও কাউন্সিলের মহাসচিবের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হচ্ছে পরীক্ষা। আর এ জন্য অনুমতিও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সামাজিক দূরত্ব তো দূরের বিষয়। মুখের মাস্কটিই নেই। ব্যাংকার্স ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা পরীক্ষায় প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর এভাবেই হুড়মুড় করে বের হতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারীদের।
পরীক্ষা হলের দৃশ্য আরও শঙ্কাজনক। পাশাপাশি একই বেঞ্চিতে বসানো হয়েছে ৩ জন করে। ছিল না হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী। আর এ নিয়ে অংশ নেয়া কর্মকর্তারাও ছিলেন আতঙ্কিত।
কর্মকর্তারা বলেন, 'চাকরি বাঁচাতে আমরা রিস্ক নিয়ে এখানে এসেছি। পেছালে পেছাতে পারত। সব পরীক্ষা যেমন পেছাচ্ছে এইটাও পেছাতে পারত। এটি এমন কোন জরুরি ছিল না। মোট ৯ হাজার শিক্ষার্থীকে এখানে ঢোকানো হয়েছে। করোনার মধ্যে আসলে এভাবে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক না। কারণ, আমাদের যেভাবে সিট প্লান করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে কোন দূরত্ব নেই।'
পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে পালন করছেন, তারাও স্বীকার করছেন মহামারি সংকটে এমন পরীক্ষা এই প্রথম।
পরীক্ষা কমিটিতে আছেন বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৬ জন। আইবিবির মহাসচিব বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতিতেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আইবিবির মহাসচিব বলেন, 'রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যেসকল ব্যাংকগুলো আছে সেগুলোর পদোন্নতিতে কিন্তু এই নাম্বারটা যোগ হয়। তো সেক্ষেত্রে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী।'
ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের এ পরীক্ষা হচ্ছে ঢাকার ৫টি কেন্দ্রসহ সারাদেশের ২১টি কেন্দ্রে। আর এতে নিবন্ধন করেছেন ৪১ হাজারের মত কর্মকর্তা।