বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের মুসলিম ভোটব্যাংকে হানা দিতে চলেছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। আর সে লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গে কয়েক বছর ধরে সেই জনমত তৈরি করছে এআইএমআইএম। আর তা হওয়ার পরেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মিম প্রধান।
তিনি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রবেশ করতে টার্গেট করেছেন দুই-তৃতীয়াংশ আসন। মুসলিম-অধ্যুষিত আসন ছাড়াও ওয়াইসি তফশিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত আসনকেও টার্গেট করছেন, যা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের কপালে। পশ্চিমবঙ্গে মিমের শক্তিবৃদ্ধির পেছনে অনেকেই বিজেপিকেই দায়ী করেছে।
তৃণমূলের তরফেও বিজেপিকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও সেই ছক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলের। দফায় দফায় বাংলায় আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলে ভাঙন ধরাচ্ছে তারা।
তেমনই বুধবার (২৫ নভেম্বর) মিম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৫০ জন। বুধবার হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু শাখার উদ্যোগে মধ্য হাওড়ার ১৯নং ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়ায় আয়োজিত এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেই আসাউদ্দিনের দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায় তাদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন।
ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন এমপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যরা। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি ইসলামুদ্দিন লালা জানান, এদিন হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় তাদের রক্তদান শিবিরে ইসরার হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন মিম থেকে তাদের দলে যোগ দেন।
এর আগে সোমবারও মিমের একাধিক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তারা। ব্রাত্যর দাবি, মিম-এর পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় স্তম্ভ, আনোয়ার হোসেন পাসা যোগ দিলেন তৃণমূলে।
এদিকে নেতাদের দল পরিবর্তন নিয়ে মিম-এর এক নেতা জামিরুল হাসান বলেন, ‘আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। তাই ৬ মাস আগেই দল তাকে সাসপেন্ড করেছে। এরা মিম-এর কেউ নয়। মিমের সবাই তৃণমূলে চলে গেছে, এটা একেবারেই মিথ্যা।’