নওগাঁর আড়তে দেশীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। নদী ও জলাশয়ের পানি কমে আসায় জালে পড়ছে শোল বোয়াল, টাকি, পুঁটি, কৈ, শিং, মাগুর মাছ । এতে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও ন্যায্য দর না পাওয়ার অভিযোগ জেলেদের।
ভোরের আলো বাড়ার সঙ্গে সান্তাহার বাইপাস আড়তে, বাড়তে থাকে মাছের সরবরাহ। পাইকারদের হাঁকডাকে জমে উঠে বেচাকেনা । নদী, নালা, বিল, জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দেশীয় নানা প্রজাতির মাছের সরবরাহ বেড়েছে ।
মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে পুকুরে চাষ করা মাছের। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এতে মাছ চাষিরা ন্যায্য দর না পাওয়ায় ক্ষতির কথা বলছেন।
তবে নাগালের মধ্যে মাছ কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারা। তারা বলেন, বিলের মাছ বেশি হওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম কমেছে।
মাছের সরবরাহ বাড়ায় বেড়েছে বেচাকেনাও। ব্যবসায়ীরা নেতারা বলছেন, এবার অধিক বন্যার কারণে বিল, জলাশয় থেকে বেশি আসছে মাছ ।
সান্তাহার পৌর আড়ত সমিতির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া বলেন, মাছের সরবরাহ বেশি হওয়ার ফলে মাছ বিক্রিও বেশি হচ্ছে।
জেলার রাণীনগর, আত্রাই ও বগুড়ার আদমদীঘি এলাকার মাছ চাষিরা সান্তাহার আড়তে মাছ নিয়ে আসেন। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয় এ আড়তে ।