চিরবিদায় নিয়েছেন ফুটবল ঈশ্বর। শোকে স্তব্ধ সারা বিশ্ব, কেউই যেন মেনে নিতে পারছেন না ফুটবলের এই কিংবদন্তি জাদুকরের চলে যাওয়াটা। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবল জাদুকর দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে একদিকে বিশ্ববাসী যেমন স্তব্ধ অন্যদিকে তার সতীর্থরা কিছুই মানতে পারছেন না এই শোক।
সব বিতর্ককে ছাপিয়ে ম্যারাডোনা যেন এখন সবার স্তুতি। এরই মধ্যে প্রস্তাব এসেছে ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সির অবসরের বিষয় নিয়ে। ফুটবল জীবনের পুরো সময়টা এই ১০ নম্বর জার্সি পরেই খেলেছেন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। আর তার মৃত্যুর পর যেন ১০ নম্বর জার্সিকেও অবসরে পাঠানো হয় এমন প্রস্তাব করা হচ্ছে ফিফাকে। এরপর আর কোনো দেশের ফুটবল দলে যেন না থাকে এই ১০ নম্বর জার্সি এমনটা চান মার্শেই কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস।
কেনই বা এমন প্রস্তাব আসবে না! ১৯৬০ থেকে ২০২০ সাল, মাঝের সময়টায় দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা যা করেছেন তাতে সর্বকালের অন্যতম সেরা তো বটেই, ফুটবল মাঠে সর্বকালের সেরা নেতাও বলা চলে নির্বিবাদে।
ম্যারাডোনা আকস্মিক বিদায়ে শোকাহত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। ম্যারাডোনাকে অবিনশ্বর বলেছেন, আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ফুটবল গ্রেটের সাবেক ক্লাব নাপোলির শহর নেপলসের মেয়র লুইগি মাজিস্ত্রিস বলেছেন, ক্লাবের সান পাওলোর স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে ৬০ বছর বয়সী সাবেক তারকা দিয়াগোর নামে।
১০ নম্বর জার্সি পরেই খেলতেন বিশ্বের অন্যতম এই ফুটবলার। তাই তার মৃত্যুতে ১০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মার্শেই কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস। ম্যারাডোনার সম্মানে আর কোনও খেলোয়াড়ের এই ১০ নম্বর জার্সি পরা উচিত হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
ভিয়াস-বোয়াসের মনে করেন, ম্যারাডোনার সম্মানে ফিফার উচিত ১০ নম্বর জার্সিটি একেবারে তুলে রাখা। একই দিন মারা গেছেন তার স্বদেশি ক্লাব পোর্তোর বোর্ড সদস্য রেইনাল্ডো তেলেস। একসঙ্গে দুটি মৃত্যু সংবাদে শোকার্ত ভিয়াস-বোয়াস।
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এক বছর আগে আর্জেন্টিনায় একটা ব্যানারে লেখা পড়েছিলাম, সেখানে লেখা ছিল, ‘দিয়াগো তোমার জীবনের সঙ্গে তুমি কী করেছ সেটা ব্যাপার নয়, ব্যাপার হলো তুমি আমাদের জীবনের জন্য কী করেছ।’
তিনি আমাদের অনেক আনন্দ দিয়েছেন এবং ফুটবলকে আরও দারুণ করে তুলেছেন। নাপোলি ও ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার জন্য যা করেছেন, তা অবিশ্বাস্য। শান্তিতে ঘুমান এবং ম্যানসিটির পক্ষ থেকে আপনার পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা।