একই পরিবারের মধ্যে ৮৪ জন মেয়র ছিলেন। বিশ্বে এ রকম প্রভাবশালী পরিবার নেই বললেই চলে। আয়ারল্যান্ডের সেই অ্যাংলো নরম্যান পরিবারের সদস্য ছিলেন জেমস ফিজ স্টিফেন লিঞ্চ। যার নামেই লিঞ্চ ক্যাসেল। ৬০০ বছরেরও বেশি সময়ের সেই ক্যাসেলটির রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।
অ্যাংলো নরম্যান ছিল আয়ারল্যান্ডের প্রভাবশালী পরিবার। আইরিশদের কাছে এ পরিবারটির গ্রহণযোগ্যতাও ছিল বেশ। গলওয়ের এই পরিবারটির ভেতর থেকেই ১৬ শতাব্দী পর্যন্ত ৮৪ জন মেয়র ছিলেন।
১৪৯৩ সালে লিন্চ মেয়র থাকাকালীন তার নিজ সন্তানকে স্প্যানিস এক নাবিককে হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ দেন, তাই নীতি আর আদর্শিক এক মেয়র হিসেবেও লিন্চের নাম সর্বজন স্বীকৃত।
সপ স্ট্রিট ও অ্যাবিগেট স্ট্রিটের মধ্যে অবস্থিত লিঞ্চ ক্যাসল। বর্তমানে এটি এ.আই.বি. ব্যাংকের কার্যালয় হিসেবেই পরিচিত। এটি মধ্যযুগীয় বাড়ির আকর্ষণীয় এক উদাহরণ। চারতলার এ ক্যাসেলটির নানান কারুকাজে খোদাই করা জানালা, কাঁচ, কার্নিস থেকে শুরু করে সব জায়গা-ই মনে হয় শিল্পীর হাতের নিপুণ ছোঁয়া।
ক্যাসলটির চুনা পাথরের অংশগুলো ১৪শ’ শতাব্দীর হলেও এর কিছু অংশ তৈরি হয়েছে ১৬শ’ শতাব্দিতে। এরপরে ১৮০৮ সালে এর সম্প্রসারণ করা হয়।
ক্যাসেলটির প্রবেশ পথ এখন ব্যাংকের প্রবেশ হলেো সামনের ভাগে যত্ন করে রাখা হয়েছে এর ইতিহাস ও নকশা। পুরনো নকশা আর বর্তমানে মিল দেখে বোঝার উপায় নেই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে ৬২০টি বছর।
শহরের যান্ত্রিক জীবন আর হাজারো অট্রালিকার ভিড়ে লিঞ্চ ক্যাসেল এখনো দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। জানান দিচ্ছে তার ইতিহাস ও সংস্কৃতির।