ঘূর্ণিঝড় নিভারে লণ্ডভণ্ড ভারতের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বহু এলাকা। গাছ উপড়ে পড়ায় বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিনজন। ১০১টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৪০০ মতো গাছপালা উপড়ে গেছে।
বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় শহর মারাক্কানামে আছড়ে পড়ে নিভার। পদুঁচেরি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের শহর মারাক্কানামে আঘাত হানার সময় নিভারের গতিবেগ ছিল ১৩০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা যায়, এতে ডুবে গেছে বিভিন্ন সড়ক, ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাস্তাঘাটে বহু গাছপালা উপড়ে পড়ায় আমরা এক এক করে সেসব সরাচ্ছি।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি চলছে। রাজ্যের সাতটি জেলায় বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। যতক্ষণ না ঝড়বৃষ্টি থামছে, ততক্ষণ বাড়ির বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পদুঁচেরি ও তামিলনাড়ুর মানুষজনকে।
নিভারের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সারাদিন পুদুঁচেরিসংলগ্ন এলাকা এবং চেন্নাইয়ে ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ১৬টি জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যতক্ষণ না ঝড়বৃষ্টি থামছে, ততক্ষণ বাড়ির বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুদুঁচেরি ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দাদের।
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই তামিলনাড়ুর প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দাকে ১৫শ’র বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।