চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসেছে নতুন অতিথি। বাঘ-দম্পতি রাজ-জয়ার ঘরে আলো করে জন্ম নিয়েছিল তিনটি ছানা। সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবনের সৌরভ ছড়াচ্ছে একটি বাঘশাবক। তাকে দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
সদ্য জন্ম নেয়া ছোট্ট ডোরাকাটা বাঘশাবক। খুনসুটি আর খেলার ছলে মেতে উঠছেন। তবে মা কিংবা বাবার সাথে নয়। চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাতের সাথে।
যিনি মা-বাবার মায়া মমতায় সারাক্ষণ বুকে আগলে রাখছেন। দুধসহ নানা খাবার দিয়ে বড় করছেন শাবকটিকে। জন্মের পর মা-বাবা থেকে আলাদা করে রাখা এক কেজি ৩০ গ্রাম ওজনের শাবকটির বয়স ১২ দিন।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ডেপুটি কিউরেটর মো. শাহাদাৎ হোসেন শুভ্র বলেন, 'সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি শাবকটির ভালভাবে কেয়ার করা যায় এবং সার্ভাইব করা যায়। যখন ও হাঁটাটা শিখবে তখন আমরা বলতে পারব ও ঠিক আছে।'
গত ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ ও জয়ার ঘরে তিন বাঘশাবক জন্ম নেয়। তবে বেঁচে আছে একটি। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে প্রধান আকর্ষণ শাবক আর বাঘ দম্পতি। সবার বিশেষ নজর সাদা ডোরাকাটা শুভ্রা নামের বিরল প্রজাতির বাঘটির দিকে।
২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির রাজ ও পরি নামের দুটি বাঘ আনা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। তাদের ঘরে ১৮ সালে জন্ম নেয় জয়া এবং শুভ্রা। আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জন্ম নেয়া আরেকটি শাবকের নাম ফেব্রুয়ারিতে রাখা হয় "করোনা"।