কয়েক বছরের মধ্যে এবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে আমন ধান। এরই মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রায় ৭০ ভাগ আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরলে দেখা মিলবে মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের নজরকাড়া দৃশ্য। মাঠের পর মাঠজুড়ে সোনালী শিষে ভরা আমনের ক্ষেত। ঘাম ঝরা ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন এখন এ অঞ্চলের কৃষকের চোখে মুখে। কোথাও কোথাও শীতের সোনামাখা রোদ্র গায়ে মেখে আমন কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা। তারা জানান, প্রতি বিঘায় এবার আমনের ফলন হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ মণ।
এবার করোনার কারণে শ্রমিক সংকট আর আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় ধান চাষ করতে বিলম্ব ও খরচ বেশি পড়লেও ধানের দামও বেশি পাওয়ায় খানিকটা দুশ্চিন্তা মুক্ত বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা। হাট বাজারে তোলার পর কৃষকেরা তাদের জমির ধান পাইকারদের কাছে ১১শ' থেকে ১৩শ' টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন। যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চাতালে প্রক্রিয়াজাত শেষে উৎপাদিত চাল আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করবেন পাইকাররা। তারা জানান, এবার এ অঞ্চলে এক মণ ধানের সর্বনিম্ন দামই পড়ছে সাড়ে ১২শ' থেকে ১৩শ' টাকা।
রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও প্রান্তিক কৃষকদের সার্বিক সহায়তা করায় ফলন ও দাম ভালো পেয়েছে।
কৃষি বিভাগের হিসাব, প্রতি হেক্টর জমিতে এবার আমনের ফলন হয়েছে ৩.৪ টন করে। জেলায় এবার সাড়ে ৭৭ হাজার হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।