দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত দেশটির অনলাইনে যৌন হয়রানির সবচেয়ে বড় চক্রের মূলহোতাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম চাও জু বিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করে তাদের যৌনকর্মের ভিডিও ধারণ করতো। ওই ভিডিও অর্থের বিনিময়ে চ্যাটরুমে বিক্রি করতো। ওই চ্যাটরুম ১ হাজার মানুষ ব্যবহার করতো। চ্যাটরুমের সদস্য হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে ১ হাজার ২০০ ডলার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হতো।
১৬ কিশোরীসহ ৭৪ ব্যক্তি চাও জু বিনের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইয়োনহাপ নিউজ সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক কোর্টের বরাতে জানায়, অভিযুক্ত লোভ এবং ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের দিয়ে যৌনকর্মের ভিডিও তৈরি করতো। পরে সেগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতো। ভুক্তভোগীদের হয়রানি করতো।
আদালত জানান, অর্থের জন্য বিব্রতকর ভিডিও তৈরি, অপরাধ চক্র পরিচালনা এবং শিশুদের যৌন হয়রানিরোধে তৈরি করা আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে চাও।
চাও-এর অপরাধী চক্র ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ধারণ করা ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপ নামে একটি চ্যাটরুমে বিক্রি করতো।
এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে উদ্বেগ এবং আলোচনা-সমালোচনা তৈরি করেছে। দ. কোরিয়ার ৫০ লাখ মানুষ নিজেদের নাম প্রকাশ না করে ২৫ বছর বয়সী চাওয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনলাইনে আবেদন করে। পরে মার্চে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর ক্ষমা চায় চাও। জানায়, আমার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আঘাত পেয়েছে তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। নরকের জীবন থেকে বিরতি নেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় ধন্যবাদ।
টেলিগ্রাম চ্যাটরুম এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ১৮ বার অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। চাওসহ আটক করা হয় ১২৪ জনকে। এ ধরনের যৌন হয়ারনির বিষয়ে গেলো বছরের শেষের দিক থেকে তদন্ত করছে বলেও জানায় পুলিশ।
দোষ স্বীকার করা আরো পাঁচ জনকে সাত থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।