২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্যের বেকারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ লাখে। কর্মসংস্থানের তেমন কোন সুযোগ তৈরি না হওয়ায় দেশটির অর্থনীতি যে ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং পড়বে সরকারি হিসাবে তা ৩শ' বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ নাজুক অবস্থা বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজনীতিক ও দেশটির রাজস্ব-দপ্তরের চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক।
ব্যয় পর্যালোচনা করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এবং কোভিড-১৯ এর কারণে এ ধরনের অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থার কেবল শুরু বলেও মনে করেন সুনাক।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের সর্বশেষ অবস্থায় বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ১৬ লাখ ২০ হাজার। গত বছরের চেয়ে যা ৩ লাখ বেশি। গত মে থেকে জুলাই, এই তিন মাসে দেশটিতে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল সর্বোচ্চে, ২৬ লাখে। আগামী বছরের মাঝামাঝি বেরকাত্বের হার দাঁড়াবে সাড়ে ৭ শতাংশে যা ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দাকালীন সময়ের পর সর্বোচ্চ।
সুনাক জানান, এবছর যুক্তরাজ্য ৩৯৪ বিলিয়ন পাউন্ড ধার করার পরিকল্পনা নিয়েছে যা হলে দেশটির শান্তিকালীন সময়ে সর্বোচ্চ ধারের (ঋণ) রেকর্ড হবে। তবে পরবর্তী বছরগুলোতে তা কমতে থাকবে। ২০২২ সালে এই ধার নেমে আসবে ১৬৪ বিলিয়ন পাউন্ড ও ২০২৩ সালে তা দাঁড়াবে ১০৫ বিলিয়ন পাউন্ডে।
হাউস অব কমন্সকে তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সরকার চাইলে এ বছর ২৮০ পাউন্ড ব্যয় করতে পারে যদিও বিশ্বের সব দেশের মতোই তার দেশও করোনাকালীন সংকট পারছে তার দেশ।
অর্থনৈতিক সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে সুনাক বলেন, এবছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ১১.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়িয়ে তা বাড়বে সাড়ে ৫ শতাংশ ও এর পরের বছর বাড়বে ৬.৬ শতাংশ।
সাময়িক চাকরিচ্যুতদের বেতন-ভাতার সহায়তা করতে গিয়ে সরকারের খরচ বেড়েছে অনেক, ঠিক একই সময় কর আদায় কমেছে উল্লেখ করার মতো।