রাজধানীতে বিভিন্ন স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণখান এলাকায় মনির এবং বাড্ডা থেকে মেলে জয়নাল নামে দুজনের লাশ। হত্যার পর তাদের লাশ ফেলে গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। দ্রুত জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা। এদিকে দক্ষিণখানের ঘটনায় একজন গ্রেফতার হলেও, বাড্ডার ঘটনায় জড়িত কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, মুরগি ব্যবসায়ী মনির শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতে দক্ষিণখানের চৈতি গার্মেন্টস এলাকার নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। ২১ নভেম্বর এ বিষয়ে জিডিও করে তার পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে চৈতি এলাকার গণকবরস্থান রোডের একটি দেয়ালের ভেতর থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
মুরগি ব্যবসায়ী মনিরের বড় ভাই বলেন, ‘মুখ দেখে চেনা যাচ্ছিল না। জুতা, পরনের বেল্ট, গেঞ্জি আর প্যান্ট দেখে বুঝতে পারি যে এটা আমার ছোট ভাই।’
এদিকে মোহাম্মদপুরে রায়ের বাজারের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক জয়নাল। সোমবারের (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় গাড়ি নিয়ে বের হলেও মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে বাড্ডা এালাকায় পড়ে আছে জয়নালের লাশ।
অটোরিকশা চালক জয়নালের স্ত্রী বলেন, ‘সোমবার রাত ৮টা বাজে উনি বের হয়েছিলেন গাড়ি নিয়ে। তারপর আর কোনও খবর পায় নাই। তারপর মঙ্গলবার সকাল ৮টা বাজে খবর পাইছি, উনি বাড্ডায় লাশ হয়ে পড়ে আছে।'
দক্ষিণখানে মনির হত্যার ঘটনায় আটককৃত সাকিব হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। তবে, জয়নালের হত্যার বিষয়ে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তবে এখনো হত্যার রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
দক্ষিণখান থানার ওসি (অপারেশন) সারওয়ার বলেন, ‘মনিরের বিজিবি মার্কেটে মুরগি ব্যবসা আছে। ধারণা করা হচ্ছে সে ওইখান থেকে মিসিং হইছে। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটা মামলা হয়েছে। আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি।’
বাড্ডা থানার ওসি মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাড্ডা এলাকায় জয়নাল নামে একজনের লাশ পাইছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।