দেশের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যুক্ত হলেন ৬৪ জন নারী ফাইটার। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৪৮তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাহিনীতে যোগ দেন।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগরে অবস্থিত প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এই সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বিমানবাহিনীর প্রধান চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বাহিনীতে সক্রিয় অবদান রাখবেন নতুন সদস্যরা।
তরুণ বিমানসেনাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ। মৌলভীবাজারের শমশেরনগরে অবস্থিত প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্যারেড গ্রাউন্ডে ড্রামের তালে কুচকাওয়াজ করেন নতুন বিমানসেনার দল।
এরপর বিমানবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রাহক করেন। কৃতী বিমানসেনাদের হাতে তুলে দেন ট্রফি। এই কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে ৭৫২ জন রিক্রুট বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলেন। আর দেশের ইতিহাসে প্রথম ৬৪ জন নারী ফাইটার পেল বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
নবনিযুক্ত এক নারী ফাইটার বলেন, ‘পরিবার, স্কুল-কলেজ সব জায়গা থেকে উৎসাহ দিয়েছে যে, মেয়েরা সব পারে তোমরা কেন পারবা না। সেই উৎসাহ থেকে ফাইটার হিসেবে যোগদান করা।’
নবনিযুক্ত আরেক নারী ফাইটার বলেন, 'প্রতিরক্ষা বাহিনী হচ্ছে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া। আর সেই চ্যালেঞ্জকে আমরা মোকাবিলা করব বলেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেছি।'
যে শপথ আমরা নিয়েছি, সামনের দিনে যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা দৃঢ় প্রস্তুত
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান, করোনা দুর্যোগে বাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরে নতুন সদস্যদের দেশের জন্য সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিমানবাহিনীর প্রধান মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, 'প্রথমবারের মতো সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী মহিলা বিমানসেনাদের প্রতি রইল অভিনন্দন। তোমাদের অন্তর্ভুক্তি বিমানবাহিনীর ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী সব নবীন বিমানসেনার কর্মময় জীবনের সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।'
দেশের আকাশ মুক্ত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে তিনটি বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর।