শীত জেঁকে বসায় ইউরোশীয় দেশগুলো থেকে ইসরায়েলের হুলা উপত্যকায় পাড়ি জমাচ্ছে পাখিরা। প্রতিবছরের মতো এবারও পাখিদের কলকালিতে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। তবে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতিথি পাখির সংখ্যা কমে আসছে বলে জানিয়েছেন পাখি বিশ্লেষকরা।
সন্ধ্যা নামতেই পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠে উপত্যকা। দল বেধে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে অতিথি পাখি। আর তা দেখতে সেখানে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।

তারা জানান, করোনার প্রভাব পাখিদের ওপর নয়, মানুষের ওপর পড়েছে। তাই মানুষ দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে একটু প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসার জন্য হাঁসফাঁস করছে। দল বেঁধে সবাই আসছে পাখি দেখতে।
‘প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। গাছপালা, পশুপাখির সান্নিধ্য মানুষকে আরও মানবিক করে। এদের টিকিয়ে রাখা খুবই দরকার।’
প্রতি বছর হুলা উপত্যকায় অন্তত ৫ লাখ অতিথি পাখি আসে। ইহুদি জাতীয় তহবিলের আওতায় এসব পাখির দেখাশোনা করা হয়। কিন্তু দিন দিন পাখির সংখ্যা কমে আসছে বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
বলেন, আগে এর চেয়ে অনেক বেশি পাখি আসত হুলা উপত্যকায়। তাদের খাবার থেকে শুরু করে দেখাশোনা, সবকিছুই করছে সরকার। কিন্তু পাখির সংখ্যা প্রতিবছরই কিছুটা কমছে।
সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষে এসব শীতকালীন পাখির আনাগোনা শুরু হলেও এবছর দুই সপ্তাহ দেরিতে সেখানে পাড়ি জমাতে শুরু করে আফগানিস্তান, জর্জিয়া, বেলারুশসহ ১৩টি দেশের পাখি।

গত কয়েক বছর ধরেই অতিথি পাখিদের আচরণ আর গতিবিধিতে এ ধরনের নানা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আর এ অবস্থায় প্রকৃতির স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে পশু পাখির প্রতি মানুষের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মত তাদের।