প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয়হীনতায় আড়ালে পড়ে যায় বহু অনিয়ম, ত্রুটি থেকে যায় পর্যবেক্ষণে, এমন মত সরকারের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ (আইএমইডির)।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আইএমইডি সচিব জানান, কাজ শেষ মানেই প্রকল্প শেষ, এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে সব মন্ত্রণালয়কে। এ সময় কাউকে শাস্তি দেওয়া নয়, প্রকল্প পরিদর্শন যেন কার্যকর হয়, তা নিশ্চিতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।
ছোট বড় সবমিলে বর্তমানে দেশে চলমান প্রকল্পের সংখ্যা দুই হাজার ছুঁই ছুঁই। সরকারি বেসরকারি আর বিদেশি অর্থায়নে যা বাস্তবায়নে গুরু দায়িত্ব পালন করে সরকারের ৩৯টি মন্ত্রণালয়।
কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কি না, কিংবা যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে তার সুফল মিলছে কিনা। এসব তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ। এরপরও হরহামেশাই প্রকল্পে উঠছে ছোট বড় নানা অনিয়মের অভিযোগ। তাহলে কি ঘাটতি আছে সরকারি পর্যবেক্ষণে, প্রশ্ন ছিল আইএমইডির কাছে।
বাস্তবায়ন মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগের প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘যারা বাস্তব উদ্যোগী মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব কোনও অংশে কম নয়। আইএমইডির দায় আছে। আমরা যদি এডিপি রিভিউ সভায় আইএমইডি যা বলল সেটা যদি একটা বার্তা হিসেবে যায় এবং সে বার্তাটা যারা গ্রহণ করার কথা তারা যদি সাধরে গ্রহণ করেন তাহলে এখানে একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।’
উন্নয়ন সাংবাদিকদের সংগঠন ডিজেএফবিকে নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে সচিব বলেন, বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় মানেই প্রকল্প শেষ নয়, তার তদারকিও জরুরি।
বাস্তবায়ন মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগের প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কেউ যদি বলে আমি তো ব্রিজ বানাইছি, আমার কাজ তো শেষ। এমন ধারণা তো ঠিক নয়। এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে সব মন্ত্রণালয়কে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের দুর্বল প্রকৃতির যে প্রজেক্টগুলো আছে তাদের ফিগারগুলো আমরা একটু চেক করব।
সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলের অনিয়ম, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়নে ধীরগতি ও আইএমইডির জনবল সংকট ও সমাধান নিয়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।