সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে নির্যাতন ও তার মৃত্যুর ঘটনায় এবার আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে
তারা হলেন: কতোয়ালি থানা ওসি (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র এবং মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল বাতেন ও বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যাহারকৃত এএসআই কুতুব আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে রায়হান হত্যায় মোট ৯ জনকে বরখাস্ত করা হলো। নতুন বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে বাতেন ও কুতুব আলী এসএমপিতে কর্মরত থাকলেও সৌমেন রংপুর জেলা পুলিশে রয়েছেন।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যা: আকবরের স্বীকারোক্তি
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের সময় সংবাদকে জানান, পুলিশ সদর দফতর নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি, এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়ার পলায়ন সব মিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ সদর দফতর সৌমেন মৈত্রকে রংপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। আবদুল বাতেন ও কুতুব আলীকে আপাতত এসএমপিতেই আছেন।
এ নিয়ে রায়হান হত্যায় নয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেফতার করা হয়েছে চার পুলিশ সদস্যকে।
গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত. রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ধরে নেওয়া হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। ১১ অক্টোবরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যান রায়হান।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে আহত হন রায়হান। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। বলা হয়, ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা গেছেন রায়হান। রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দু'দিন পর পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার পরদিন ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে নেয় এসএমপি।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যা: অবশেষে গ্রেফতার এসআই আকবর
পরবর্তীতে এসএমপি আরও দুজনকে বরখাস্ত করে। আকবর পলাতকের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতর থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে সর্বশেষ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়।
আরো পড়ুন: রায়হান হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ