পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের কিছু এলাকায় বিভিন্ন কারণে বন্যহাতি নিহত হচ্ছে।
এসব বন্যহাতি নিধন প্রতিরোধে ব্যর্থ ও দায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বন্যহাতি হত্যার সঙ্গে জড়িত মানুষের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে আয়োজিত মাসিক সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বস্তিগুলোতে চলছে অবৈধ বিদ্যুতের রমরমা ব্যবসা
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজ, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানরা ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন করেন।
মন্ত্রী জনসাধারণকে বন্যহাতি নিধন থেকে বিরত করতে সচেতনামূলক কর্মসূচি জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বন্যহাতির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন মানুষের সরকারের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি সবাইকে জানাতে হবে। মন্ত্রী বলেন, হাতিসহ অন্য সব প্রকার বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সভায় উপস্থিত প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল তৈরি এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে হাতির আবাসস্থল বিনষ্ট ও বিভক্ত হয়েছে। তাদের দীর্ঘকালীন পরিচিত চলাচলের পথও নষ্ট হয়েছে। ফলে বন্যহাতি পথভ্রষ্ট হয়ে অথবা খাদ্যের সন্ধানে মানুষের ধানক্ষেতে প্রবেশের চেষ্টা করে। ফলে স্থানীয় মানুষের পাতানো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বা অন্যবিধ আক্রমণে নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্তপূর্বক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বন্যহাতি হত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি জোরদার করা হবে মর্মে তিনি সভাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে রাস্তা-ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। সব প্রকল্প যাতে যথানিয়মে এবং যথাসময়ে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে মনোযোগী হতে পরিবেশমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।