প্রতিবছরের মতো এবারও পহেলা জানুয়ারিতেই বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে এ বছর সমাবেশ করে বই বিতরণ করা হবে না।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও পহেলা জানুয়ারিতেই বই উৎসব অনুষ্ঠিত হব। প্রতি বছরের মতো এর উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ বছর সমাবেশ করে বই বিতরণ করা হবে না। কোন পদ্ধতিতে বই দেওয়া হবে তার নির্দেশনা স্কুলগুলোকে দিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই এইচএসসির ফল: শিক্ষামন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে পারে। কারণ পরীক্ষার আগে আমরা অন্তত তিন মাস সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে চাই।
দীপু মনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে। কবে থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। যখনই ক্লাস শুরু হবে শুরুর দিকে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে সবাইকে। সেক্ষেত্রে হয়তো সবার সব দিন ক্লাস নাও হতে পারে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে জোর দেওয়া হবে বেশি। তাদের হয়তো একদিন বাদে বাকি সব দিনই ক্লাস নেওয়া হবে।
এ বছর স্কুলে ভর্তি হতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করানো হবে।
আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
তিনি বলেন, বর্তমানে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং অন্য ক্লাসগুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা হয়। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে লটারি অনুষ্ঠানের সময় আগের মতো অভিভাবকরা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
দীপু মনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় (বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা) কোটা বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার ৫০ শতাংশ করা হবে। ক্লাস্টার ভিত্তিক লটারিতে বিদ্যমান একটি স্কুল পছন্দের পরিবর্তে পাঁচটি স্কুল পছন্দের সুযোগ দেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, লটারিতে পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমেই ভর্তি করানো হবে। ভর্তির সময় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে।