আলভারো মোরাতার শেষ মুহূর্তের গোলে শেষ ষোলোর টিকিট কাটলো য়্যুভেন্তাস। নিজেদের মাঠে ফেরেঙ্কো ভারোসকে ২-১ গোলে হারালো তুরিনের ওল্ড লেডিরা। ইউসিএলে ফিরেই গোল করেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনালদোর ফেরার ম্যাচ। নিজেদের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ স্টেডিয়াম বলেই হয়তো ফেরেঙ্কো ভারোসের বিপক্ষে আশায় বুক বেঁধেছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। তার উপর ১৯৭৩ সালের পর কখনো কোনো ইতালিয়ান জায়ান্টের বিপক্ষে পয়েন্ট পায়নি হাঙ্গেরির ক্লাবটি। শেষ ম্যাচের একাদশে ৬ পরিবর্তন এনে ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজায় আন্দ্রে পিরলো।
নিজেদের মাঠ হলেও খেলার শুরুতে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেয় রোনালদোরা। বল দখলে এগিয়ে থেকে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। মনস্তাত্ত্বিক এই কৌশলের সুবাদে ম্যাচে প্রথম কার্যকরী সুযোগ আসে ১৩ মিনিটে। তবে পাওলো দিবালা চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বৃথা হয়।
নিজেদের লিগে শেষ দুই ম্যাচ হারা য়্যুভেন্তাস ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রথম ধাক্কা খায়। ডিফেন্সের ভুলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল খেয়ে বসে। ফেরেঙ্কোভারোসের হয়ে স্কোরর উজুনি।
নিজেদের মাঠে গোল খেয়ে যেন হুঁশ ফিরে আসে আন্দ্রে পিরলো বাহিনীর। ফরমেশনে পরিবর্তন এনে একের পর এক আক্রমণ শানায়। ৩৫ মিনিটে লাইম লাইটে আসেন দলের প্রাণভোমরা রোনালদো। ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোড়ালো শট প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক কিছুই করতে পারেনি। পর্তুগিজ সুপারস্টারের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরে তুরিনের ওল্ড লেডিরা।
বিরতির পর একটা গোলের অপেক্ষায় দু'দল। লিওনার্দো বোনুচ্চি ও ফেডেরিকো চিয়েসোর অভাবটা মাঠে ভালোই টের পেতে থাকে য়্যুভরা। দ্বিতীয়ার্ধে এলোমেলো ফুটবল টেলিভিশনের দর্শকদের হতাশ করছিল।
৬২ মিনিটে পাওলো দিবালাকে বসিয়ে, তরুণ আলভারো মোরাতাকে নামান কোচ। সেটাই কাজে আসে। ম্যাচের ফলাফল যখন সবাই ড্র ধরে নিয়েছিল। তখনই যোগ করা সময়ে সেই মোরাতাই বোকা বানান গোলরক্ষককে।
শেষ মুহূর্তের গোলেই কপাল খুলল রোনালদোদের। ২-১ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কাটলো আন্দ্রে পিরলো শিষ্যরা।