তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গন আবার সরব হয়ে উঠেছে। গত রোববার (২২ নভেম্বর) পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে মাঠে নেমে পড়েছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ডিসেম্বর যে ২৫টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে কুড়িগ্রাম পৌরসভা রয়েছে। ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপে ঝিমিয়ে থাকা রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে।
ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রধান দু'টি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য নিবন্ধিত দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
এরমধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী মনোনয়নে প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছে। এ জন্য মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর কমিটির মোট ৭১ জন সদস্যের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৬৮ জন। এদের মধ্যে ৬৭ জন সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন পৌর কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মো. আব্দুল জলিল। অথচ তিনি এবারও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, প্রার্থী তালিকা করতে পৌর কমিটির সভায় উপস্থিত ৬৭ জনের গোপন ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে পৌর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু ৩২ ভোট, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম ৩১ ভোট, পৌর কমিটির সদস্য ও বর্তমান মেয়র মো. আব্দুল জলিল ২ ভোট এবং জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুর রহমান মমিন ২ ভোট পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এই ফলাফলসহ তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এখন কেন্দ্র থেকে যাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে সবাই একযোগে তার পক্ষে কাজ করবেন।
এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। তারাও দলের মনোনয়ন পেতে লবিং-তদবির শুরু করেছেন। এই দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বেবু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব এবং কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আব্দুর রহিম শামীম।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা জানান, দু'একদিনের মধ্যে জেলা ও পৌর বিএনপির সভা করে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র থেকে যাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে সবাই একযোগে কাজ করবেন।
অন্যদিকে এক সময় কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এই পৌরসভায় কখনও এই দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হননি। ফলে এ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন কারও নাম এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি এবং জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহমেদ জানান, কুড়িগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
এছাড়া নিবন্ধিত অন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন কারও নাম এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি।