বড়দিন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। আর বড়দিন মানে শিশুদের কাছে প্রিয় সান্তা ক্লজ। সারাবছর শিশুরা এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে শুধুমাত্র সান্তা ক্লজের আগমনের জন্য। সান্তা আসবে, শিশুদের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দে মাতবে, তাদের জন্য নিয়ে আসবে নানা উপহার। তবে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে এবারের বড়দিনে উৎসবে আনন্দ থাকছে না অন্যান্য বছরের মত।
বৈশ্বিক মহামারি মধ্যে অন্যান্য উৎসবের মতো বড়দিনের আনন্দও যেন ফিকে হয়ে না যায় তাই এবার সান্তার আগমন হবে অভিনব পন্থায়। শিশুদের আনন্দটা বজায় রাখতে সান্তা ক্লজকে আনার এই অভিনব পন্থাটি বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি একটি ওয়েব পেইজের ভার্চুয়াল স্ক্রিনে হাজির করবে সান্তাকে। আর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যামেরার সামনে বসে শিশুরা কথা বলতে পারবে সান্তার সঙ্গে। মেতে উঠবে বড় দিনের আনন্দে। নানা রকম মজার অঙ্গভঙ্গি করেও সান্তা আনন্দ দেবে শিশুদের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে।
তবে ভার্চুয়াল এই প্লাটফর্মে আনন্দে মেতে উঠতে পারলেও সান্তার কোলে বসে তার শুভ্র দাড়ি টানার মত পছন্দের শখটি হয়তো পূরণ হবে না শিশুদের। আর ভালোবাসে সান্তার কাছ থেকে নিতে পারবে না মজার সব উপহার।
করোনার কারণে বিশ্বের নাজুক পরিস্থিতিতে উৎসবগুলো যখন আনন্দ ফিকে হয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন এমন উদ্যোগ নিয়ে সামনে এসেছে মার্কিন টেক কোম্পানি 'স্টোরি ফাইল'। অনেকটা অভিনব পদ্ধতিতে, সান্তা ক্লজ ও শিশুদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের পথ তৈরি করে দিচ্ছে।
অভিনব এই উদ্যোগের বিষয়ে স্টোরিফাইলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিদার স্মিথ বলেন, করোনার কারণে এবার স্বভাবতই শিশুদের সুযোগ মিলবে না সান্তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করার। আর তাই আমরা এমন অভিনব উপায়ে ক্রিসমাসে শিশুদের জন্য কিছুটা বিনোদনের ব্যবস্থা করেছি। ভার্চুয়াল এই প্ল্যাটফর্মে শিশুরা কেবল সান্তাকে দেখতেই পাবে না, তাকে প্রশ্ন করার সুযোগও পাবে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কেবল মজার মজার প্রশ্ন নয়, বিনোদনের বাইরেও শিশুরা এখানে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন করতে পারবে প্রিয় সান্তাকে। আয়োজকদের বিশ্বাস, এর মধ্য দিয়ে শিশুরা করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও সচেতন হতে পারবে। করোনা পরিস্থিত স্বাভাবিক না হলে, আগামী বছরও ঠিক একইভাবে সান্তা ক্লজকে শিশুদের সামনে হাজির করা হবে বলেও জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান 'স্টোরি ফাইল'।