তালাকের প্রতিশোধ নিতে’ স্ত্রীকে এসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে ওই নারীর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে খবর পাওয়ার পরপরই নূপুরের স্বামী আবু তালেবকে ধরতে পুলিশ তৎপর হয়। ভোরে তাকে আটক করা হয়।
অ্যাসিডে দগ্ধ নার্গিস আক্তার নূপুর (৩০) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী নাম আবু তালেব (৪০) একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের রাহাত আলীর ছেলে।
নার্গিস আক্তারের বাবা জানান, নূপুরকে সোমবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
নূপুরের বাবা আরও জানান, কয়েক বছর আগে তালেবের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। নানা কারণে তার মেয়েকে মারধর করত তার জামাই। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক সপ্তাহ আগে নার্গিস তার স্বামীকে তালাক দেন। তালাকের নোটিশ পেয়ে আবু তালেব প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করেছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক বলেন, নার্গিস আক্তারের মুখের নিচের অংশ এবং চোখের কিছু জায়গা অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়।
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
নূপুরের স্বজনরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামে নার্গিস আক্তার নূপুরকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায় সাবেক স্বামী তালেব। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ৭ বছর আগে তালেবের সঙ্গে বিয়ে হয় নূপুরের। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তালেবের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা থাকায় সম্প্রতি তাকে তালাক দেয় নূপুর। এরই জেরে তাকে অ্যাসিডে ঝলসে দিয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।