বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান মামলার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে বেতাগী থানায় মামলাটি করা হয়। এ মামলায় ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফকে প্রধান আসামি করে তার তিন ছেলেসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আহত চেয়ারম্যানের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত শুক্রবার দুপুরে বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফ। অনুষ্ঠানে খাওয়া শেষ করে আগেই বিয়েবাড়ি থেকে চলে যান ইউসুফ। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর দুপুর ২টার দিকে বিয়েবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান। কিছু দূর যেতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ইমাম হাসানের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে গেলে তার পায়ে ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় দুর্বৃত্তরা। ধারালো অস্ত্রের কোপে হাড় কেটে ঝুলে ছিল তার বাঁ-পা। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি রয়েছেন।