চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড থেকে মো. জামশেদ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বশরতনগর সাগর উপকূল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে মরদেহ পাওয়া যায়। আর শনাক্ত করেন জামশেদের ছোট ভাই মো. নাছির।
নিহত জামশেদের বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে।
গত ১২ নভেম্বর জামশেদ অপহরণের অভিযোগ এনে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী রুবি আক্তার। এ ঘটনায় মো. জুয়েল (২৫) মো. সাইফুল্লাহ (২৭) নামে একই ইউনিয়নের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সময় সংবাদকে জানান, জামশেদকে অপহরণের পর হত্যা করে বস্তাবন্দী মরদেহ উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের দেলীপাড়া এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। দূরের সাগর উপকূল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ১২ নভেম্বর জামশেদের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। সে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের দেলীপাড়া থেকে অপহৃত জামশেদ উদ্দীনকে ফিরে পেতে শনিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় জীবিত অথবা মৃত ফিরে পাওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
অপহৃত জামশেদের ভাই জয়নাল আবেদীন বলেন, জামশেদ বিএনপির রাজনীতি করতেন। গত বুধবার রাতে মুরাদপুর ইউনিয়নে তার নিজের বাড়িতে যান। সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত বুধবার রাতে জামশেদ হাসনাবাদ গ্রাম থেকে শ্বশুরবাড়ি কুমিরা ইউনিয়নের মগপকুর এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পান পরিবারের সদস্যরা।