সারারাত খোলা রেখে ব্যবসার পাশাপাশি সেবার দরজা উন্মুক্ত রেখেছে রাজধানীর বেশকিছু ওষুধের দোকান। জরুরি মুহূর্তে হন্তদন্ত হয়ে আসা স্বজনদের হাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ তুলে দিতে দেয়াকে ব্যবসা থেকেও অনেক বেশি কিছু হিসেবে দেখেন ব্যবসায়ীরা। ওষুধ কিনতে আসা রোগীর স্বজনদের মত, রাতে খোলা না থাকলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো তাদের।
গভীর রাতের নিস্তব্ধতায় শহর ঘুমালেও অনেকের চোখে ঘুম নেই। কারও স্বজন হাসপাতালে, কেউ নিজেই অসুস্থ। তাই মধ্যরাতেও ব্যবস্থাপত্র হাতে ওষুধের খোঁজে যায় মানুষ। রাত জেগে এসব জরুরি ওষুধের জোগান দিতে খোলা থাকে রাজধানীর অনেক ওষুধের দোকান।
জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী নিতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে আসা রোগীর স্বজনরা বলছেন, ওষুধ না পেলে ভোগান্তি বাড়ত বহু গুণ। ছুটতে হতো শহরের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে।
একজন জানান, আমার রোগীর অপারেশন শেষ হয়েছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে একটা ওষুধ প্রয়োজন। সে জন্য ওষুধের জন্য এসেছি।
আরেকজন জানান, ওষুধ পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। না পেলেই অনেক ভোগান্তি পড়তাম।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যখন বন্ধ, তখন রাতের ঘুম বিসর্জন দেয়ার মধ্যে শুধু ব্যবসা নয়, বিক্রেতারা খুঁজে পান প্রশান্তি। আনন্দ খোঁজেন জরুরি মুহূর্তে কারও হাতে জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ তুলে দিতে পারার মধ্যে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট নকল করে শুল্ক ফাঁকি
ফার্মেসির এক বিক্রেতা জানান, রাতে একটা মানুষ যদি ওষুধ না পায়; সেক্ষেত্রে সে অনেক ভোগান্তি পড়তাম। হয়তো আমরা খোলা রাখার কারণে ওনি অসুস্থ রোগীর জন ওষুধটি কিনতে পেরেছে।
ঢাকা মেডিকেল, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক ওষুধের দোকান খোলা থাকে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা।