জামিনে বের হয়ে একদিকে চলে মামলার হাজিরা, অন্যদিকে চলে জালটাকা বানানো। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে অর্ধকোটি টাকার জালনোটসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। আর এ কাজে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় নারীদের। যে কোনো উৎসবের মতোই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় এ চক্র।
মেশিন থেকে বের হচ্ছে ৫০০, হাজার টাকার নোট। মনিটরিংয়ে জালটাকার তৈরির দক্ষ কারিগর হুমায়ুন কবির। একযুগ ধরে হাত পাকিয়ে আজ সে চক্রের হোতা। এই চক্রে স্ত্রী-ভাইসহ সবাইকে এনেছে সে। ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছয়বাবের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে গ্রেফতার হয় হুমায়ুন। সর্বোচ্চ ১৮ মাস জেল খেটে আবারও এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে।
এই হুমায়ুন কবির একাই একশ’, সফটওয়ার তৈরি থেকে টাকা ছাপানো সবই তার দখলে আর এই কাজে সহায়তা করেন দুই নারী সদস্য।
সদস্যর একজন জানান, গত মাসে আমার স্বামী র্যাবের হাতে ধরা পড়ে। পরে উনাকে ছাড়ানোর জন্য হুমায়ুন ভাইয়ের কাছে আসি তিনি আমাকে এই কাজ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পদত্যাগ দাবিতে রাজপথে লাখো মানুষ
রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে টাকা সরবরাহের জন্য রয়েছে নিজস্ব সিন্ডিকেট। সেই চক্রের এক সদস্য মুন্সিগঞ্জের জামাল। ঢাকা, সাভার, মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন জেলায় জালটাকা ছড়িয়ে দেয়াই তার কাজ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডের একটি বাড়িতে দুই বছর ধরে ভাড়া বাসায় এই কাজ করে আসছিল এই চক্রের সদস্যরা যাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, তারা গ্রেফতার হয়ে ২-৪ বছরের মধ্যে ছাড়া পান। এরপরও আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়েন।
প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ জালনোট তৈরি করা হয় এসব মেশিনে। প্রতি এক লাখ টাকা বিক্রি হয় ৮-১০ হাজার টাকায়।