নদীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেখে জাল নৌকা রেখেই পালিয়ে যায় একদল জেলে। তবে শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮ জেলেকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচির পঞ্চম দিনে রোববার (১৮ অক্টোবর) চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
ভোর থেকে জেলার পদ্মা ও মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে দক্ষিণের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দল এ অভিযানে অংশ নেন। এতে নৌপুলিশের একাধিক দলকে তাদের সঙ্গে দেখা গেছে। অভিযানকালে প্রায় দুই লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ইঞ্জিনচালিত ৫টি মাছ ধরার ট্রলার ৫০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিন জানান, জব্দ করা জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা এবং ট্রলারগুলো পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩৮ জেলেকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মা ইলিশ সংরক্ষণে এই অভিযান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময় উপকূলের ইলিশ বিচরণের নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, চাঁদপুরের নদী সীমানার প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এই সময় টহল জোরদার করতে ১০টি দল দিনরাত দায়িত্ব পালন করছে।