মা ইলিশ সংরক্ষণে আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলায় নদনদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় শুধু মাছ ধরাই নয়, ইলিশ পরিবহন, বিপণন এবং মজুদও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা পালন করতে জেলেরাও তাদের জাল নৌকা নিরাপদে তুলে রাখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চাঁদপুরের হরিণাঘাটের জেলে সফিক মিজি। তার নিত্য সঙ্গী জাল ও নৌকা। এসব নিয়েই নদীর সঙ্গে তার মিতালি। গত কয়েকদিন নদীতে জাল ফেলে ইলিশও মিলছিল বেশ। আনন্দে তার মনটাও ছিল ফুরফুরে। কিন্তু সেই আনন্দের ছন্দপতন হচ্ছে। কারণ, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। ফলে জেলে সফিক মিজির মতো অন্য জেলেদের মুখও এখন মলিন। চাঁদপুরের উত্তরের ষাটনল থেকে দক্ষিণের চরভৈরবী পর্যন্ত সেই একই চিত্র।
এদিকে, শেষদিনের মতো নদীতে জাল ফেলে কিছু ইলিশ ধরাও পড়ছে। তবে এভাবে তা চলবে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে এসময় বেকার জেলেদের সরকারি প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জেলেরা জানান, সরকার আমাদেরকে ২০ কেজি চাল দেয়। এছাড়াও আমাদের আরও খরচ আছে, সেগুলো কে দিবে?
মা ইলিশ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানালেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী।
তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড, জেলা পুলি ও নৌ পুলিশের সম্বনিত চেষ্টায় মা ইলিশ রক্ষায় ১০ টিম টহল অব্যাহত রাখবে।
প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ বিচরণের নদনদীতে সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। জেলায় নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন সরকারি তালিকায় এমন জেলের সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার।