বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে টিউশন ফি দিতে না পারলে শিক্ষার্থীদের জুম একাউন্ট বন্ধ ও রেজিস্ট্রেশন বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুল। প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণকে অমানবিক দাবি করে ফি পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোসহ মানবিক আচরণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
করোনাকালে অসহায়ত্বের আখ্যান ঘরে ঘরে। ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী মাসুদ খান তেমনই একজন। করোনা তার ব্যবসায় ধস নামিয়েছে। স্কুলের বকেয়া ফি পরিশোধ করতে না পারায় অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে দুই সন্তান।
মাসুদ খান বলেন, ‘আমি বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারিনি বলে আমার সন্তানদেরকে শিক্ষা দেওয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে নিজেকে অসহায় পিতা হিসেবে দেখছি।’
গত ১৪ বছর ধরে নিয়মিত বেতন-ফি পরিশোধ করে আসলেও তার এই অসময়ে পাশে দাঁড়ায়নি মাস্টারমাইন্ড স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, 'করোনা না হলে এরকম আসলে আমরা টেরও পেতাম না স্কুলটা মানবিক নাকি অমানবিক। প্রতিবছর ১০ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছে। আমরা সেটা দিয়ে গেছি। যেহেতু আমার কাজ পর্যটক নির্ভর। এখন আমাদের নিজেদের জীবন চালানোটাই কষ্টকর সেখানে বেতনটা কিভাবে দেবো ভেবে পাচ্ছি না।'
এদিকে, সংকটের এই সময়ে নতুন করে ফি পরিশোধের সময় বেঁধে দিয়ে নোটিশ দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারলে শিক্ষার্থীদের জুম একাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেটসহ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে বলে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে অমানবিক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্কুলটির অভিভাবক ফোরাম।
এদিকে, অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কারো দেখা পায়নি সময় সংবাদ।