নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রা। তাদের দাবি, গ্যাস লাইন স্থাপনের আগেই শেষ হয় মসজিদের পাইলিং ও ভবন নির্মাণের কাজ। দেয়ালের পাশ দিয়ে যাওয়া লাইনের লিকেজ দিয়েই মসজিদে গ্যাস ঢোকে। তবে, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিতাস কোনো বক্তব্য দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জের তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের পর গ্যাস লাইন মেরামত করতে আসে তিতাস। দেখা যায় মসজিদের উত্তর পাশে অনেকটা দেয়াল ঘেঁষে চলে গেছে তিতাসের গ্যাস লাইন। সেখানে বড় বড় কয়েকটি ছিদ্রের সন্ধানও পাওয়া যায়। ওই লিকেজ দিয়েই মসজিদটিতে প্রবেশ করে গ্যাস। তবে মসজিদটির নিচে পাওয়া যায়নি গ্যাসের কোনো লাইন।
গ্যাস লাইন স্থাপনের আগেই মসজিদটির পাইলিং ও বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শেষ হয় বলে দাবি মসজিদ কমিটির।
বাইতুস সালাত জামে মসজিদ সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, ৯০-৯১ হয় ফাউন্ডেশন। যেসময় এই ফাউন্ডেশন দেয় তখন তিতাস যায়নি।
মসজিদ কমিটির আবারও দাবি, লাইন নিজেদের না হওয়া সত্ত্বেও গ্যাসের উপস্থিতি টের পেয়ে মেরামতের জন্য যোগাযোগ করা হয় তিতাসে। এক্ষেত্রে বাধ সাধে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, মসজিদের কোন লাইন ছিল না।
এদিকে তিতাসের দাবিকৃত টাকা তুলতে মসজিদে ঘোষণা দেয়া হলে অনেকে চাঁদাও দেন। চান ঘটনার সুষ্ঠু বিচার।
একজন স্থানীয় জানায়, জুমআর সময় জানিয়েছে ৫০ হাজার টাকা লাগবে, আপনারা যে যা পারেন কিছু সহযোগিতা করেন।
তবে, মসজিদ কমিটি বা এলাকাবাসীর দাবির বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তিতাসের গঠিত তদন্ত দল।
তিতাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আল আমুন বলেন, এখন বলাটা ঠিক হবে না, তারা কি বলছে জেনে জানাতে হবে।
মসজিদটিতে দুটি বিদ্যুৎ লাইনের একটি অবৈধ বলে স্বীকার করেছে মসজিদ কমিটি। দুর্ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিতাস ও জেলা প্রশাসক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রতিবেদন আগামী রোববার দেয়ার কথা রয়েছে।