লাল বল বা সাদা বল নিয়ে না ভেবে দলের প্রয়োজনে যেকোন ফরমেটের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছেন টাইগার পেসার শফিউল ইসলাম। লকডাউন থেকে ফিরে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও মাঠে নামতে এখন পুরোপুরি তৈরি। কোচ ওটিস গিবসনের সান্নিধ্যে অনেক কিছুই শিখতে চান শফিউল। প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যাট হাতে দলে অবদান রাখতেও নিয়মিত অনুশীলন করেন বলে জানিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
একটা ইনিংস। একটা ইতিহাস। দেশের মানুষ তো বটেই; বিশ্ব ক্রিকেটে অমিত সম্ভাবনা জাগিয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন শফিউল। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে জনক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো টাইগাররা। কঠিন গন্তব্যে পৌঁছোতে সেদিন দলকে দিশা দেখিয়েছিলো এই টেল এন্ডারের উইলো।
মাঝে ফর্মহীনতায় জাতীয় দলে যাওয়া আসার মধ্যে থাকলেও আবারও লিমিটেড ওভার ক্রিকেটে আস্থার যোগ্য করে, ভেঙ্গে গড়েছেন নিজেকে। তবে ক্রিকেটের এলিট ফরম্যাটে খুব বেশি খেলা হয়নি। যদিও বলের রংটা মাথায় থাকে না কখনো। দলের প্রয়োজনে যে কোনো ফরম্যাটেই সার্ভিস দিতে চান এই পেসার।
শফিউল বলেন, 'ক্রিকেটে লাল বল, সাদা বল কোন বিষয় না। যেখানে সুযোগ পাবো সেখানেই খেলবো। চেষ্টা করবো ফিটনেস ধরে রেখে নিজের সেরাটা দিতে। নিজেকে যতোটা ফিট রাখা যায় সে কাজই করছি।'
লকডাউনে সবার মতোই বাধ্য হয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন। কঠোর তপস্যায় ফিটনেসটা ফেরত পেয়েছেন। তবে আক্ষেপ অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে কোচ ওটিস গিবসনকে গুরু হিসেবে পেয়েও দীক্ষা নেয়া হয়নি হাতে ধরে।
তিনি আরো বলেন, 'ওটিস গিবসন অনেক বড় মাপের কোচ। ওনার সঙ্গে কাজ করে অনেক শিখেছি। শেখার কোন শেষ নাই।'
ঐতিহাসিক ম্যাচটায় ৪ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ২৪ রান তুলে জানান দিয়েছিলেন ব্যাটিং সামর্থ্যের। তবে নিজের বোলিংটাকেই মনোযোগের কেন্দ্রে রেখেছেন সুহাস।
বিসিবি'র ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে গড়ানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন টাইগার পেস আক্রমণের এই পরীক্ষিত সৈনিক।