দুবাইয়ে অভিজাত হোটেলে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। সিআইডি’র হাতে গ্রেফতারের পর চক্রের মূল হোতা আজম খান জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন। রাজধানীর লালবাগ থানার এক নারীর অভিযোগে গ্রেফতার হন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। এখন পর্যন্ত এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
বাংলাদেশ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। রাজধানীর অভিজাত এলাকা নিকেতনের একটি ভাড়া বাসায় ছিল সোহাগের ট্রান্স ট্রুপ নামে ডান্স কোম্পানি। এখানেই তিনি পরিচালনা করতেন ডান্স একাডেমি।
সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই ডান্সের ব্যবসার নামে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে অভিজাত হোটেলে নারী পাচার করতেন তিনি। এই অভিযোগে এই চক্রের মূল হোতা আজম খানকে গ্রেফতারের পর নিকেতনের বাসা থেকে সোহাগকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
যদিও তার এক বন্ধুর অভিযোগ, এমন কিছুর সঙ্গে সোহাগ জড়িত নন।
সোহাগের বন্ধু বলেন, এটা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওর সাথে ২০ বছর চলছি। ২০ বছরে আমার চোখে দেখা কোনো দিন দেখি নাই যে নারী পাচারের সাথে জড়িত থাকতে। আমি ওর সাথে বিদেশেও গিয়েছি সরকারিভাবে।
নিকেতনের এই বাসায় যাতায়াত ছিল দেশের নামীদামী মডেলসহ উঠতি মডেলদের।
বাসার দারোয়ান বলেন, মাঝে মাঝে বাসায় মডেল মেয়েরা আসত। এছাড়া আর কিছু দেখি নাই।
সিআইডি বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রথমে দুজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জিন্নাত আরা বলেন, ফ্ল্যাট বা বারগুলোতে অল্প বয়সী মেয়ে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হত। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। মামলাটার গ্যাং লিডার আজম ও ইভান শাহরিয়ারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছি।
জুলাই মাসে রাজধানীর লালবাগে এক নারীর অভিযোগে করা মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। যার মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।