আগামী দুই বছরের সূচি মাথায় রেখে তিন ফরম্যাটে পৃথক দল গঠন করতে হবে। বিশেষ করে টেস্টের জন্য আলাদা কয়েকজন ক্রিকেটার বাছাই করা জরুরি। এতে ইনজুরি সমস্যা কমবে এবং দল ইতিবাচক ফল পাবে। এমন মন্তব্য সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের। অন্যদিকে, আলাদা আলাদা দল তৈরি করা এখনই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। যেমন আছে টেস্ট, তেমনি আছে ওয়ানডে। তার চেয়ে আছে বেশি টি-টোয়েন্টি। ২০২১/২২ সালে দু'টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপের আসর আছে আরও দু'টি।
এতে করে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ পাবেন না ক্রিকেটাররা। তাই তিন ফরম্যাটের এতো ম্যাচ থাকায় ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকিও থাকছে। তিন ফরম্যাটে একই ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলার কারণে পারফরমেন্সেও প্রভাব পড়বে। তাই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের খালেদ মাসুদ পাইলটের পরামর্শ, ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি মাথায় রেখে তিন ফরম্যাটের আলাদা দল গঠনের। তার যুক্তি, টানা অনেক ম্যাচ খেললে ইনজুরির সমস্যা বাড়তে পারে। এতে করে পরের ম্যাচের জন্য ফিট খেলোয়ার পেতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এতে বের হতে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন ফরমেটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটার তৈরি করতে পারলে ভালো হবে।
ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা ইংল্যান্ড অনেক আগে থেকেই তিন ফরম্যাটে দল নিয়ে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বয়স বাড়লেও এখনও পৃথক ফরম্যাটের দল গঠনের অবস্থায় নেই ক্রিকেট বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, আগামীর জন্য এটা ভাবতে হবে। হুট করে এটা করা সম্ভব না। ওয়ানডের জন্য ১১ জন, টেস্টের জন্য ১১ জন আবার টি-টোয়েন্টির জন্য ১১ জন আলাদা খেলোয়ার নিয়ে দল তৈরি করা এখনই সম্ভব নয়। তবে, যারা আন্ডার নাইন্টিনে খেলছেন তারা যেন লঙ্গার ভার্সনে খেলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারেন সেজন্য কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ করে আলোচনায় টেস্ট ক্রিকেটে। এ ফরম্যাটে জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার খেলতে আগ্রহী নন। যদিও বিসিবি ক্রিকেটারদের উদ্ভুদ্ধ করতে টেস্টে আর্থিক পারিশ্রমিক বাড়িয়েছে।