২০২১ ও ২০২২ সাল এই দুই বছর এক রকম দম ফেলবার সময় পাবে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। টাইগারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচির ব্যস্ততার ব্যাপারটি মাথায় রেখে সাদা ও লাল বলে আলাদা ব্যাটিং কোচ রাখার পরিকল্পনা করেছে ক্রিকেট বোর্ড। জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস। এদিকে, শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যাটিং উপদেষ্টার পদে নিয়োগ পাওয়া ক্রেইগ ম্যাকমিলানের ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক ক্রিকেট বোর্ড।
আগামী দুই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচির কারণে দম ফেলানো সময় পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। ২০২১ সালের কথাই ধরা যাক। ১২ মাসে ১১টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। যার মধ্যে ৯টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজসহ আছে দুটি বৈশ্বিক আসর এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পরের বছর প্রায় একই রকম ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ। সব মিলে দুই বছরে মোট ১১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে তামিম-মুশফিকরা। বোলিংয়ে যেমন পেস আর স্পিন আলাদা বিশেষজ্ঞ কোচ আছে। ঠিক তেমনি ব্যাটিং গভীরতায় বৃদ্ধিতে এবার মনোযোগ ক্রিকেট বোর্ডের। তাই টেস্ট আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য পৃথক ব্যাটিং কোচের সন্ধান।
বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, 'তিনটি ফরমেটে খেলা হয় সাধারণত। আমরা চিন্তা করছি হেড কোচ একজন থাকবে। কিন্তু ব্যাটিং কোচ আলাদা করে রাখতে চাই।'
শ্রীলঙ্কা সফর সামনে রেখে আপদকালীন সময়ে নিয়োগ পাওয়া নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ ক্রেইগ ম্যাকমিলানের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ক্রিকেটে বোর্ডের। তার অধীনে দুই বার বিশ্বকাপ খেলা কিউই এই ব্যাটিং পন্ডিতকে এক সিরিজ দিয়েই মূল্যায়ন করতে চায় বিসিবি। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ম্যাকমিলানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পরিকল্পনা করছে বোর্ড। তবে, সেটা এখনই নয়।
তিনি আরো বলেন, 'ম্যাকমিলান স্বল্প সময়ের জন্য এসেছে। তার পারফরমেন্স দেখে সিদ্ধান্ত নেবো। সে বাছাই পর্যায়ে আছে। শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে মূল্যায়ন করতে চাই। তারপর অন্য সিদ্ধান্ত।'
ম্যাকমিলানকে লম্বা সময় রেখে দেয়া হবে। ক্রিকেট বোর্ডে এমনই জোর গুঞ্জন। আবারও এমনটাও শোনা যাচ্ছে, টেস্ট সিরিজ ভিত্তিক চুক্তিও হতে পারে ম্যাকমিলানের সাথে।