পাওনা টাকা চাওয়ার জেরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যা করে মামা। গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত মামা বাদল। এদিকে, দুই শিশু সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে আপন ভাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বোন হাসিনা বেগম।
পুলিশ জানায়, বাহরাইনে থাকাকালে দোকান করার জন্য ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয় বাদল। এরমধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ আগে কামাল উদ্দিন ও বাদলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে শ্যালক বাদলকে থাপ্পড় মারেন ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিন।
এরই জেরে গত ২৫ আগস্ট বাঞ্ছারামপুর সাহেবনগর গ্রামে বোনের বাড়িতে লাউড স্পিকার গান বাজায় বাদল। পরে ১০ বছরের ভাগ্নে কামরুলের হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে সে। এসময় ১৪ বছরের ভাগ্নি শিপা রুমে ঝাড়ু দিতে গিয়ে দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়। পরে দু'জনের লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।
নিহত কামরুল-শিপার মা হাসিনা আক্তার বলেন, আমার বুক একবারেই খালি করে দিয়েছে। আমি তারেই (বাদল) সন্তানের মতো লালন করেছিলাম, সন্তানের মতো আদর করেছি।
ঘটনার পর পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত বাদল। বুধবার রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করলে পুলিশের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে সে। পরে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় মামলা করেন বোন হাসিনা আক্তার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ সুপার মো.আনিসুর রহমান বলেন, তাদেরকে হত্যা করার সময় যাতে শব্দ না হয়; সেজন্য গান বেজে ছিলেন। সে কৌঁশলে তাদেরকে খোঁজার জন্য বের হয়ে পালিয়ে যায়।
বাদল কুমিল্লার হোমনা উপজেলার খুদা দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে বাহরাইন থেকে দেশে ফিরেন। তার বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মারামারির আরো একটি মামলা রয়েছে।