ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাই-বোনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা-মাকে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
সোমবার বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাহেবপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী কামাল মিয়ার ১০ বছরের ছেলে কামরুল হাসান নিখোঁজ হয়। এ সময় ১৪ বছরের মেয়ে শিপা আক্তারকে রান্না ঘরে রেখে ছেলের সন্ধানে যান মা হাসিনা আক্তার। পরে ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন মেয়েও নিখোঁজ। হঠাৎ বসতঘরের মেঝেতে রক্তের সূত্রধরে খাটের নিচে ছেলে মেয়ের লাশ দেখতে পেয়ে অচেতন হয়ে যান মা হাসিনা। তবে ঘটনার সময় বাবা কামাল মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
এলাকাবাসী জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হোক। সেই সঙ্গে এর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর ছলিমাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল মতিন বলেন, আমার এবং আমার এলাকাবাসীর দাবি, এটার সুষ্ঠু বিচার হোক।
পারিবারিক কলহ কিংবা লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ, অনুসন্ধানে আমাদের অভিযান চলছে। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
নিহত কামরুল হাসান পঞ্চম শ্রেণি এবং শিপা আক্তার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।