রাজধানীতেই নবায়নের জন্য আটকে আছে কয়েক লাখ পাসপোর্ট। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও আপাতত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মিলছে না এই সুবিধা।
পাসপোর্ট নিয়ে দুর্ভোগ ছিলো অনেক আগে থেকেই। করোনা পরিস্থিতিতে এ ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হলেও সবাই এ সুবিধা পাচ্ছেন না।
এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে ভিসা এবং ফ্লাইট পরিচালনা সীমিত আকারে চালু হয়েছে। ফলে চাপ বেড়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওপর।
পাসপোর্ট করতে অধিদপ্তরে আসা একজন জানান, তিনি পাসপোর্টের জন্য জানুয়ারিতে আবেদন করেছেন। এখনও হাতে পাননি। তার বিদেশ যাওয়া জরুরি। আরেক জনের অভিযোগ, তিনি চারবার পাওয়ার তারিখ পেয়েছেন কিন্তু পাসপোর্ট পাননি। কবে পাবেন তাও জানেন না।
নবায়নের জন্য আটকে আছে প্রায় দুই লাখের বেশি পাসপোর্ট। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, করোনার পূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদের অগ্রধিকার ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। তবে, ভাবাচ্ছে প্রিন্টিং মেশিনের সক্ষমতা। জট কমানোর উদ্যোগের কথাও জানান পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ আকারে আসছে। প্রিন্টিং আর এমআরপি বৃদ্ধি করে এটা সমাধানের চেষ্টা করব। আর ই-পাসপোর্ট দ্রুত শুরু হলে এই জটটা কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
করোনার কারণে গত ২২ মার্চ থেকে ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের এমআরপি বায়োমেট্রিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।