কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি এলাকায় আছমা বেগম নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আছমার স্বজনদের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। ঘটনার পরপর থেকেই আছমার স্বামী মোবারক পলাতক রয়েছে।
এঘটনা রোববার (১৬ আগস্ট) আছমার বাবা রশিদ ঢালী বাদী হয়ে কয়েক জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নিহতের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আছমার শ্বশুর আসাদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, ১২ বছর আগে যশোর জেলার নগর বুন্নি গ্রামের রশিদ ঢালীর বড় মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকার আসাদুলের ছেলে মোবারকের। বর্তমানে তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। যৌতুকের জন্য শশুরবাড়ির লোকজন আছমাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো। কয়েকদিন আগেও আছমার নানীর বাড়ী থেকে তার মায়ের পাত্তনা সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। তা দিতে রাজি হয়নি আছমা। শনিবার (১৫ আগস্ট) রাতে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন আছমার গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। এরপর স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে রাত ৩টার দিকে আছমার বাবার বাড়িতে খবর পাঠায়। লাশ দেখে স্বজনদের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়।
আসমার বাবা রশিদ ঢালী বলেন, আছমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার দাগ রয়েছে। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারও দাবি করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যকিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় মোটা রশির দাগ পাওয়া গেছে।