মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে হানিফ তালুকদার (১৫) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৬ আগস্ট) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হানিফের মৃত্যু হয়।
হানিফ উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের আরমহল গ্রামের হযরত আলী তালুকদারের ছেলে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান উপজেলা পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের অনিককে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে আরমহল এলাকার হানিফ তালুকদার ও পূর্ব শিয়ালদী গ্রামের শামীম ওরফে সীমান্তর সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হানিফ শিয়ালদী মৃধাবাড়ি সেতু এলাকায় যায়। এ সময় সীমান্তসহ (১৮) ১০/১২ জন কিশোর হানিফকে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হানিফের বাবা ও বড় ভাই মিজান তালুকদার (২২) তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত ওই এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার। তার নেতৃত্বে এলাকায় ১৫/২০ জনের একটি দল রয়েছে। যারা এলাকায় মারামারি করা, ভয়ভীতি দেখানো, মানুষকে বিরক্তসহ নানা অপকর্মে জড়িত। সীমান্ত একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে
নিহত হানিফের বড় ভাই মিজান জানান, সীমান্ত, অনিক ও তার বড় ভাই সহ ১০-১২ জন হানিফকে মারধর করতে থাকে। আমরা তাদের বাধা দিলে আমাদেরও মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা হানিফের মাথা ফাটিয়ে দেয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য যারা জড়িত তাদেরও আটকে চেষ্টা চলছে।