নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা-বঙ্গোপসাগরের চ্যানেলে মালবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় জাহাজের মাস্টারসহ ১৪ নাবিক নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর তাদের জীবিত উদ্ধার উদ্ধার করেছে জেলেরা। এই সময়ে তাদের কাছে ছিল শুধুমাত্র একটি লাইফ জ্যাকেট এবং বাঁচার তীব্র আশা।
তারা কীভাবে বাঁচলেন সেই গল্প জানিয়েছেন বেঁচে ফেরা অনেকে। এমভি আকতার বানু-১’র মাস্টার জিয়াউল করিম বলেন, শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালে প্রচণ্ড বাতাসে জাহাজে পানি ঢুকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও উপকূলে ভিড়তে পারিনি। এক পর্যায়ে লাইফ জ্যাকেট পরে ১৪ জন একসঙ্গে সাগরে ঝাঁপ দেই। ২২ ঘণ্টা সাগরে ভাসার পর রোববার (১৬ আগস্ট) সকালে নিঝুম দ্বীপ এলাকায় ফিশিং ট্রলারের জেলেরা আমাদের উদ্ধার করেন।
এর আগে জাহাজটির শিপিং এজেন্ট ‘লিটমন্ড শিপিং’-এর অপারেশন ম্যানেজার জাহিদ হোসেন বলেন, এক হাজার ৮০০ টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে শনিবার সকালে হাতিয়া এলাকায় আকতার বানু জাহাজটি ডুবে যায়। আকতার বানু-১’র মাস্টারসহ ১৪ জন জীবিত উদ্ধার হয়েছে। হাতিয়া থেকে তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। এরইমধ্যে দুইটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১৫ আগস্ট) ভোরে মেঘনা-বঙ্গোপসাগরের চ্যানেলের ভাসান চর এলাকায় জাহাজ ডুবির এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর হাতিয়ার কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিশ্বজিৎ বড়ুয়া জানান, রোববার ভোরের দিকে মেঘনা-বঙ্গোপসাগরের মোহনার ভাসান চর এলাকায় কার্গো জাহাজ আক্তার বানু-১ মেঘনা-বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে জাহাজটি ডুবে যায়। নিখোঁজদের উদ্ধার করা গেলেও এখনো জাহাজের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।