যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে খেলাধুলা চালুর অনুমতি দিলেও করোনা পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্তে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর।
এদিকে, ফুটবলারদের কোভিড টেস্টের বাজে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাফুফে ও পেশাদার ক্লাবগুলোকে আরও সতর্ক হবার পরামর্শ সাবেক ফুটবলারদের। এ ব্যাপারে ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্বকে অনুসরণ করতে পারে অন্য ফেডারেশনগুলো বলে মনে করেন সাবেক ক্রিকেটাররা।
করোনার থাবায় বন্ধ হয়ে যায় ক্রীড়া কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েন ক্রীড়াবিদরা। এমনকি অনুশীলনের সুযোগও রাখা হয়নি। তবে এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে সীমিত পরিসরে খেলার অনুমতি দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানালেও দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রয়োগ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এই ক্রীড়া সংগঠক।
বিওএ উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর বলেন, 'এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়ে সংশয় আছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কতোটা সম্ভব হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।'
তবে অনুমতি মেলায় মাঠে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠবে সাড়ে চার মাস ধরে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেয়া খেলোয়াড়রা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের লিগ নিয়েও ভাবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাফুফের। এ অবস্থায় জাতীয় দলের ক্যাম্পের আগে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ সাবেক এই ফুটবলারের।
সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদ জানান, 'আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সরকারের দিক-নির্দেশনা মেনে সবাই চলতে পারি। ক্রীড়াঙ্গনকে সুরক্ষিত রাখতে পারি।'
সাবেক ক্রিকেটার রাহুল মনে করেন, বাফুফের ভুল কিংবা ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্বের সতর্কতায় মাঠে ফেরার আগে দুটো উদাহরণ থেকেই শিক্ষা নিতে পারে অন্য ফেডারেশনগুলো।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক বোলার নিয়ামুর রশিদ রাহুল বলেন, 'খেলোয়াড় এবং বিসিবি সবাই পেশাদারি মনোভাবের। এই পেশাদারিত্ব অন্য ফেডারেশনকেও নিতে হবে।'
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ১৭ মার্চ দেশের সকল খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।