বানের জলে ভেসে গেছে শরীয়তপুরের পাঁচটি উপজেলার ৪০টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের ঈদের আনন্দ। অনেকের দু'বেলা দু' মুঠো খাবারও জুটছে না। নেই ত্রাণ কিংবা সরকারি সাহায্য।
বানে ভাসা জীবন। জলবন্দি সময়। অথৈ পানির মাঝে এক একটি বাড়ি যেন এক একটি দ্বীপ। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। কর্মহীন মানুষগুলোর জীবনে ঈদ মানে যেন স্বপ্ন।
ডুবে যাওয়া ঘরে খাটের উপরই সংসার। দুপুরের রান্না বসিয়েছেন সাহারা খাতুন৷ একমাত্র ছেলে কর্মহীন তিন মাসেরও বেশি সময়। ঠিকমতো জুটছে না খাবার।
সাহারা খাতুন বলেন, এই বন্যার মধ্যে কাজ পাবে কোথায়। কাজ থাকলেই তো খাবার জুটতো।
সাহারা খাতুনের ছেলে বলেন, ঈদ বলতে কিছু নাই। কাজ নাই অনেকদিন। ভাত জোটে না ঠিক মতো।
বাড়ির পুরুষ কর্মহীন তাই সেলাই মেশিন হাতে তুলে নিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিয়েছেন রুমা। পরিবারের চার সদস্যের কারো ভাগ্যেই জোটেনি ঈদের কাপড়।
রুমা বলেন, ঈদ কিসের। আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব সেটাই চিন্তা করি।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নই পানিতে থাকলেও অনেকের ভাগ্যেই জোটেনি ত্রাণ।
স্থানীয়রা জানায়, তারা এই পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পায় নাই।
এদিকে নড়িয়ার নশাসন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় ৯৪০ জনকে ত্রাণ দিতে পেরেছি। এর বেশি দেওয়ার মততো আমাদের কোনো অবস্থা নাই।
বেড়ে চলা পদ্মার পানিতে শরীয়তপুর সদর, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, ডাম্যুড্যা ও নড়িয়ার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি।