পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে সাবেক সহকারী টাইরেস ডিভন হ্যাসপিলের সম্পৃক্ততার জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুক্রবার মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, হ্যাসপিলের কেনা করাতই পাওয়া যায় ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে। তার বাসায় মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত পোশাকও। পরে তাকে নেয়া হয়েছে কারাগারে।
তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডিভন হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয় তার। সেখানে বেরিয়ে আসে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া ইলেকট্রনিক করাতটি টাইরেস ডিভন হ্যাসপিলেরই কেনা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লিন্ডা ফোর্ড বলেন, 'হোমডিপো থেকে হ্যাসপিলের কেনা ইলেকট্রনিক করাত ও ধোয়া-মোছার সরঞ্জাম ফাহিম সালেহর অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া যায়। এ সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত সন্দেহভাজন খুনির পোশাক হ্যাসপিলের ব্রকলিনের বাড়িতে পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যাসপিলকে শনাক্ত করতে পেরেছে।'
ফাহিমের হত্যায় হ্যাসপিলের সম্পৃক্ততা আছে জানিয়ে অ্যাটর্নি ফোর্ড আরো বলেন, অপরাধ সংগঠনের আগে ও পরের সার্ভেলান্স ভিডিও থেকে অন্তত দুজন হ্যাসপিলকে শনাক্ত করেছেন।
শুক্রবার হাসপিল গ্রেফতার হওয়ার পর নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, "অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর (ফাহিম সালেহ) আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন।"
তিনি জানান, ব্যক্তিগত সহকারী টাকা চুরি করেছেন বুঝতে পেরেও পুলিশে কোনো অভিযোগ করেননি ফাহিম সালেহ, বরং ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
তদন্তকারীদের ধারণা, যেদিন ফাহিমের লাশ পাওয়া গেল, তার আগের দিন তাকে হত্যা করেন হ্যাসপিল। পরদিন তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে গিয়েছিলেন লাশ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য।
কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাহিমের বোন ওই ভবনে উপস্থিত হন এবং লবি থেকে কলিং বেল চাপেন। সে শব্দেই ঘাতক সবকিছু ফেলে ভবনের পেছনের দরজা ও সিঁড়ি ব্যবহার করে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ।