নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার পরও পাহাড়ি ঢলের দুর্ভোগ ঘোচেনি ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলাবাসীর। লাখ লাখ মানুষকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে অপূরণীয় ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি নিয়ন্ত্রণে সংকুচিত বাঁধ দিয়ে পানিতে ফেলা হয়েছে প্রায় দেড়'শ কোটি টাকা।
এবারও নদীতে সম্প্রসারিত বাঁধের বিষয় ধোঁয়াশা রেখে কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন বাঁধের জন্য ৮শ' ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।
বছরের পর বছর বর্ষা এলেই মুহুরি নদীর উজানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যেত ভাটির এখানকার পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ২০০৪ সালে ফেনীর পরশুরামের মুহুরীর নদীর দুই তীরের সম্প্রসারণ করে ১শ’ মিটার দুরত্বে বাঁধ দেয়ার ১'শ ৬৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়।
পরবর্তীতে প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে নদী সংলগ্ন পুরানো বাঁধের উপরই ২০০৬ সালে নতুন বাঁধের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১২ সালে। কিন্তু নির্মাণের পর তদারকির কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ইঁদুরের গর্ত, অবৈধ বালি ও মাটি উত্তোলনে ধস আর ফাটলের কারণে বরাবরের মতোই ঝুঁকির মুখেই বাঁধটি।
প্রতি বছর ভাঙন মেরামতে গড় ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। যা কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার জানালেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে নতুন প্রকল্পটি একনেকে যাবে।
মুহুরী ও কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সুবিধাভোগী ও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, নদীর দূরত্বে বাঁধ দিয়ে পানি ধারণ ক্ষমতা না বাড়ানো হলে নতুন প্রকল্পের টাকাও পানিতে যাবে।