দিন যতই যাচ্ছে, ততই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বাড়ছে কোভিড ছাড়া অন্য রোগীর সংখ্যা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি দূর-দূরান্ত থেকে স্বজনরা শিশুদের নিয়ে আসছেন নানা উপসর্গ নিয়ে। এ অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই রোগীর স্বজনদের। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
চকরিয়ায় সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু। জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাই চকরিয়া থেকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুধু একটু চিকিৎসার আশায় এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ছুটতে ছুটতে কাহিল স্বজনরা।
রোগীর স্বজনরা বলছেন, সকাল থেকে দেখছি অনেক অনেক রোগী মারা যাচ্ছে। আমরা ভালো চিকিৎসা পাচ্ছি না তাই নিয়ে যাচ্ছি। রোগীকে নিয়ে আসলে তো আমাকে রোগীকে সময় দিতে হচ্ছে। কেউ করোনার জন্য কাছে আসতে চাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সংক্রমণের চূড়া নিয়ে ভিন্নমত স্বাস্থ্যবিভাগ-বিশেষজ্ঞদের
ছয় মাসের শিশু রহমান। জন্মের পর থেকেই খিচুনিসহ নানা সমস্যা রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে কোনো ধরনের সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম মেডিকেলে।
এদিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে হাসপাতালে। পাশাপাশি পা ভাঙা, চর্মরোগসহ নানা উপসর্গ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন রোগীরা। তবে, সেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই রোগীর স্বজনদের।
তবে এখন রোগী অনেক কমে যাওয়ায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক অজয় কুমার ঘোষ, সাতশ জন রোগী যখন আসে তখন আমাদের একটু সময় লাগে। কারণ আমরা ৫টা রুমে রোগী দেখি। তাই রোগী দেখতে সময় লাগলে অন্যরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে চলে যায়। অবশ্য এখন আর এই সমস্যা নেই।
বন্দরনগরীর পাশাপাশি বিভাগের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।